বৃহস্পতিবার, ৩১ অক্টোবর ২০২৪, ০৭:২৩ পূর্বাহ্ন
ক্রাইমসিন ডেক্সঃ
বাকেরগঞ্জ উপজেলায় দুর্গাপূজা মণ্ডপের তিনটি প্রতিমা ভাঙচুর করা হয়েছে। এ ঘটনায় বাকেরগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শফিকুল ইসলামকে প্রত্যাহার করা হয়েছে।
শুক্রবার দিবাগত গভীর রাতে উপজেলার পশ্চিম শ্যামপুর দেউড়ি বাড়ি সার্বজনীন দুর্গা মন্দিরে ঘটনাটি ঘটে বলে নিশ্চিত করেছে মন্দির কমিটি ও পুলিশ।
এ ঘটনার পর বাকেরগঞ্জ থানার ওসিকে সরিয়ে তার স্থলে থানার পরিদর্শক (তদন্ত) গোলাম মোস্তফাকে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে বলে জানা গেছে।
মন্দিরের সাধারণ সম্পাদক শংকর দেউড়ি জানান, শুক্রবার রাত দেড়টা পর্যন্ত তারা মন্দিরে ছিলেন।
এরপর সবাই বাড়ি গিয়ে ঘুমিয়ে পড়েন। সকালে এসে দেখতে পান দুর্গা, লক্ষ্মী ও কার্তিক প্রতিমার মাথা ভেঙে ফেলা হয়েছে। কারা করেছে এমন কোনো ধারণা নেই।
শংকর দেউরী বলেন, গত ১১ বছর ধরে এ মণ্ডপে পূজা হয়। এই প্রথমবার এ ধরনের ঘটনা ঘটেছে।
পূজার আগে প্রতিমা পুনরায় তৈরি করা সম্ভব কি না জানতে চাইলে তিনি বলেন, আগামী ৮ সেপ্টেম্বর থেকে দুর্গা পূজার উৎসব শুরু হবে। প্রতিমায় শুধু রঙের কাজ বাকি ছিল।
এ ঘটনায় তারা থানায় কোনো অভিযোগ করবেন না বলেও জানান শংকর।
ঘটনার পর বরিশাল জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ দেলোয়ার হোসেন ও সেনা ক্যাম্প কমান্ডারসহ পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন।
বাকেরগঞ্জ থানার পরিদর্শক (তদন্ত) গোলাম মোস্তফা বলেন, তিনটি প্রতিমা ভাঙচুর করা হয়েছে। এর মধ্যে একটি প্রতিমার মাথা ভেঙে পায়ের কাছে ফেলা রাখা হয়েছে। আরেকটি প্রতিমার মাথা ভেঙে ঝুলিয়ে রাখা হয়।
অপরটি হাত ভেঙে ফেলা হয়েছে। ঘটনায় জড়িতদের চিহ্নিত ও গ্রেপ্তারে অভিযান চলছে।
পুলিশ সুপার মোহাম্মদ বেলায়েত হোসেন বলেন, ভাঙচুর বলা যায় না। মাথা খুলে পায়ের কাছ রাখা হয়েছিল। সেটা আবার বসিয়ে দেওয়া হয়েছে। ভাঙচুর হলে তো ক্ষতিগ্রস্ত হতো।
বিষয়টি অনুসন্ধান করা ছাড়া নিশ্চিত কিছু বলা যাবে না।
তিনি বলেন, মণ্ডপ কমিটির প্রতি আমাদের দিক-নির্দেশনা ছিল সার্বক্ষণিক স্বেচ্ছাসেবক রাখার। কিন্তু তারা রাখেনি।
এক্ষেত্রে মণ্ডপ কর্তৃপক্ষও দায় এড়াতে পারে না। তবুও আমি থানার ওসি মো. শফিকুল ইসলামকে অন্য দায়িত্বে দিয়েছি। সেখানে পরিদর্শক গোলাম মোস্তফাকে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে।